ক্রাইম রিপোর্টারঃ
মানিকগঞ্জের ঘিওরে থানার ভিতরে বিএনপির নেতাকর্মীদের বহরের মোটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে নারীসহ দুই পুলিশ সদস্যকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য ড. খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।আজ বৃহস্পতিবার সন্ধায় ঘিওর থানার ভিতরে এই ঘটনা ঘটে। এসময় ওই বিএনপি নেতা ও তার অনুসারী ঘিওর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাউসারসহ নেতা কর্মীরা পুলিশকে গালাগাল ও লাঞ্ছিত করেছে বলে ভুক্তভোগী অভিযোগ। ঘিওর থানার ওসি কহিনুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য আকবর হোসেন বাবুল ও ঘিওর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাউসারের নেতৃত্বে একটি মোটরসাইকেলের বহর থানার ভিতরে ঢুকে। এসময় থানার ভিতরে তাদের বহরের সব মোটরসাইকেল রাখতে চায়। থানায় দায়িত্বে থাকা এক নারী পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল) থানার ভিতরে মোটরসাইকেল রাখতে নিধেষ করেন। তাৎক্ষনিক ওই নারী পুলিশ কনস্টেবলকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ঘিওর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাউসার। এরপর ওই নারী পুলিশ কনস্টেবল থানার ভিতরে গিয়ে টিউটি অফিসার এ.এস.আই রফিককে বিষয়টি অবগত করেন। পরে ডিউটি অফিসার রফিক বিষয়টি বিএনপি নেতা কর্মীদের বুঝিয়ে বলেন এবং থানার ভিতরে মোটরসাইকেল না রাখতে অনুরোধ করেন। তখন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য আকবর হোসেন বাবুল ও ঘিওর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাউসার ডিউটি অফিসার রফিককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এরপর ঘিওর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাউসার এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সামনে ডিউটি অফিসার রফিককে লাঞ্ছিত করেন। তারপর থানার আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য আকবর হোসেন বাবুল ও ঘিওর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাউসার তাদের নেতাকমীদের নিয়ে থানার ভিতর থেকে ঘিওর মাঠের প্রতিমা বির্সজন উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় চলে যান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা আরো জানান, থানার ভিতরে ঝামেলা করার পর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য আকবর হোসেন বাবুল ও ঘিওর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাউসার তাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘিওর মাঠের মেলায় চলে যান এবং মেলার স্টেজে বির্তকিত বক্তব্য দিতে থাকেন। তখন আইনশৃঙ্খলা ও মেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে, তাদের অনুরোধ করার হয়। কিন্তু সেখানেও তারা পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও লাঞ্ছিত করেন।
এবিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য খন্দকার আকবর হোসেন বাবুল বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, আমার নেতা কর্মীরা আমার গাড়ি থানায় রাখতে গেলে রফিক নামের ওই পুলিশ সদস্য খারাপ ব্যবহার করেছেন। সে আওয়ামীলীগের দোসর।
এবিষয়ে ঘিওর থানার ওসি কহিনুর ইসলাম, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের পর আলোচনা করে, উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
0 Comments