ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে সম্ভাব্য বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. খলিলুর রহমান সরকার বলেছেন, “জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে পীরগঞ্জকে আধুনিক, উন্নত ও শান্তিময় একটি মডেল এলাকায় রূপান্তর করব।”
রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ১২ নম্বর মিঠিপুর ইউনিয়নের একবারপুর পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. খলিলুর রহমান সরকার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আবু হোসেন সরকারের জামাতা। তিনি বর্তমানে খালেদা জিয়া–তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি ও তাঁর সমর্থকরা ইতোমধ্যে এলাকায় গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জনগণের কাছে উন্নয়ন ও পরিবর্তনের বার্তা পৌঁছে দিতে তিনি একের পর এক সভা-সমাবেশ, উঠান বৈঠক ও জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
মো. খলিলুর রহমান সরকার বলেন, “রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের মানুষের পাশে আমি আছি, থাকব। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও কর্মসংস্থানসহ প্রতিটি খাতে টেকসই উন্নয়ন ঘটাতে চাই। সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও এলাকার উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।”
তিনি নির্বাচিত হলে ১৪টি উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এর মধ্যে রয়েছে নতুন সড়ক ও ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা, বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজিমুক্ত সমাজ গঠন, দুর্নীতি রোধে ‘সেবা অ্যাপ’ চালু, খেলাধুলার প্রসার, কৃষকদের জন্য প্রযুক্তি ও সার সহায়তা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আশ্রয়ণ প্রকল্প সম্প্রসারণ, বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসন, নারীদের কারিগরি প্রশিক্ষণ, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা নিশ্চিতকরণ এবং ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুব উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগ।
তিনি বলেন, “সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং ও মাদকমুক্ত একটি সমাজ গড়ে তুলতে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলা ও শিক্ষায় মনোযোগী করে গড়ে তুলতে চাই।”
একই সঙ্গে তিনি বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, “দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, প্রশাসনিক সংস্কার ও নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষায় আমি আন্তরিকভাবে কাজ করব।”
পীরগঞ্জের উন্নয়ন নিয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট— জনগণের আস্থা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গঠন এবং জনসেবা নিশ্চিত করা। তিনি বিশ্বাস করেন, “জনগণের সেবাই আমার রাজনীতি। উন্নয়ন, সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে পীরগঞ্জের মানুষের মুখে হাসি ফুটানোই আমার লক্ষ্য।”

0 Comments