একটি নাম চান্দু যার ভয়ে চর ঘিওর বাসী আতঙ্কে

বামে চান্দু             ডানে পিয়াস

নান্নু মিয়া,স্টাফ রির্পোটারঃ

চর ঘিওর গ্রামে আমিন আর নাজিম দুই ভাই এর মধ্যে জায়গা জমির বিরোধ কে কেন্দ্র করে অত্র গ্রামের শালিসদারদের কাছে যান। যাওয়ার পরবর্তীতে শালিসের তারিখ দিয়ে শালিসে বসা হয়। বসার পরবর্তীতে দুই পক্ষের কথা সুনেন শালিসদাররা, দুই পক্ষের কথা শেষে শালিসদাররেরা বলেন আমরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যদি একটি সিধান্ত দেই তাহলে কি তোমরা দুই পক্ষ সেই সিধান্ত মানবে কি না। তখন দুই ভাই শালিসদার কে সম্মতিঙ্গাপন করেন যে আপনারা যা সিধান্ত দিবেন সেটাই আমরা দুই ভাই মেনে নেবো। তখন শালিসদারেরা দুই পক্ষের লোক নিয়ে একটি জুরি বোর্ড তৈরি করে পাঠান। জুড়ি বোর্ড শালিসদাদের কাছে সিধান্ত নিয়ে আসেন এমত অবস্থায় জুড়ি বোর্ড সিধান্ত দেওয়ার আগ মুহূর্তেই নাজিম উদ্দীনের (নাতী) মেয়ের ঘরের ছেলে শালিসের মধ্যে সবার সামনে  মনির এর উপর হামলা করে। এরই মধ্যে নাজিম উদ্দীন শালিস এর মধ্যে থেকে পালিয়ে যান। পরবীর্ততে শালিসদারগণ বলেন, হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আজকের মতো শালিস সমাপ্ত ঘোষণা করেন। কিছু দিন পর আবার নাজিম উদ্দীন শালিসদারদের কাছে গিয়ে বলেন আমার নাতীর বিচার আমি করবো শালিসের একটি ব্যাবস্থা করেন। পূনরায় আবার গ্রাম্য মাতাব্বররা শালিস এ তারিখের দিয়ে শালিসে বসেন। পরবর্তীতে দুই পক্ষের কথা শুনে আবারো জুড়ি বোর্ড এর মাধ্যমে সিধান্ত আনেন। এমত অবস্থায় ওই বিচারের সভাপতিত্ব করে মোঃ ছানোয়ার হোসেন। রায় ঘোষণায় আগ মুহূর্তে ছানোয়ার উপর হামলা করে নাজিম ও তার সন্ত্রাসী বাহীনিরা। ততক্ষনাত নাজিম ও তার সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এমত অবস্থায় শালিসদারগণ সকলের উপস্থিতিতে বলেন, যে যেহেতু আমিন উদ্দীন ও নাজিম উদ্দীন দুই বার শালিস ডেকে শালিসদারদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আমরা এই সমাজের মানুষ আজ থেকে তাদের সাথে কথা বার্তা ও চলাফেরা বন্ধ রাখবো। আমাদের এই সমাজের সাথে তাদের আর কোন যোগাযোগ থাকবে না। এরই মধ্যে কিছুদিন যাওয়ার পরে নাজিম উদ্দীন গ্রুপরা সন্ত্রাস ও চাদাঁবাজ শহিদুল ইসলাম চান্দু অত্র এলাকাবাসীকে হুমকি দিয়ে  বলেন সবাইকে পুলিশে ধরিয়ে দিবো বলে শাসান। আরো বলেন উপর থেকে চাপ আছে কে এই চান্দু, তার পরিচয় কি? । অত্র এলাকার কিছু লোক নাম গোপন রেখে বলেন, এই চান্দু ও তার ছেলে আওয়ামীলিগের দোষর। ৫ তারিখের পরে থেকে তারা বণেযান বিএনপির কৃষকদল। চান্দুর ছেলের পরিচয় হলো পিয়াস ঘিওরের একজন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি নামে পরিচিত মুখ ছিলো। এই পিয়াস মানিকগঞ্জ ছাত্রলীগের মীমের ডান হাত হয়ে ঘিওরে চাঁদাবাজি করতো। তার পিতা চান্দু ৫ তারিখের পরে বিএনপির হাইব্রিড বড় নেতা বনেযান। 

এখন তর কাজ হলো চাঁদাবাজি ও দখলবাজসহ নানান ধরনের অকর্মের সাথে লিপ্ত থাকা। ছেলে ছাত্রলীগের সন্তাসী ছিলো আর বাবা ঘিওর উপজেলা কৃষকদলের ৩নং সহ-সভাপতি বনেযান এই চান্দু। 

আওয়ামীলীগের সময় ছেলে আর বিএনপির সময় বাবা এই ভাবে চলছে এই চান্দু।  বিএনপির নাম ভাংগিয়ে বিভিন্ন ধরনের অকর্ম করে যাচ্ছে চান্দু । 

চরঘিওর গ্রামবাসীর দাবী মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির অভিভাবকদের কাছে এই চান্দু দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। একে দল থেকে বহিষ্কার দাবি জানান।

অত্র এলাকাবসী প্রশাসনের কাছে দাবী জানান, এই চান্দুর হাত থেকে আমাদের কে রক্ষ করুন।


Post a Comment

0 Comments