৫ হাজারের পরিবর্তে গুনতে হয় ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা : মানিকগঞ্জে মহালের রমরমা লাইসেন্স বাণিজ্য


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

‎মানিকগঞ্জে বালু মহাল ইজারার লাইসেন্স বাবদ সরকারি ফি ৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এস এ শাখার সায়েরাত সহকারী মো:আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। 

‎অনুসন্ধানে জানা যায়,আরিফের মাধ্যমে লাইসেন্স নিতে হলে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হয় এবং সরকারি ফি এর বাহিরে ডিসি অফিসের এল আর ফান্ডেও টাকা প্রদান করতে হয়। কেউ অস্বীকৃতি  জানালে তার লাইসেন্স ঝুলে থাকে,তা কখনো আলোর মুখ দেখে না। টাকা দিলে ৩ দিনেও লাইসেন্স মেলে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। বালু মহাল ইজারার লাইসেন্স এর সরকারি ফি সব মিলিয়ে ৫ হাজার ৫০০ টাকা।তবে লাইসেন্সের আলোর মুখ দেখতে হলে  ৫ হাজারের পরিবর্তে গুনতে হয় ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ফি।

‎বালুমহালের লাইসেন্স প্রাপ্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানায়, ডিসি অফিসের আরিফের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা দিয়ে লাইসেন্স করেছি।টাইম ছিলো না, বৃহস্পতিবার টাকা জমা দিয়েছি রবিবারই লাইসেন্স করে দিয়েছে।আমি নিজে গুনে আরিফের কাছে টাকা দিছি।আরিফের না করার মত ক্ষমতা নাই। এখান থেকে এল আর ফান্ডে গিয়েছে ৫৫ হাজার টাকা।লাইসেন্স বাবদ সর্বমোট আমি আরিফের কাছে মোট দেড় লক্ষ টাকা দিয়েছি।

‎অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এস এ শাখার সায়েরাত সহকারী মো: আরিফুল ইসলাম বলেন, এগুলো মিথ্যা। আমি কোন টাকা পয়সা গ্রহন করিনি। এখানে কোন টাকা দেওয়ার সুযোগ নাই, টাকা জমা দিতে হয় ব্যাংকে।

‎এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Post a Comment

0 Comments