মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় দোকান বাকির টাকা চাওয়ায় বেধড়ক মারপিটে দোকানি এবং তার ছোট ভাই আহত। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন । ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের চকমিরপুর কালিবাড়ী বাজারে মোঃ ওমর আলীর ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রায় ৪ বছর আগের দোকান বাকির টাকা পান একই গ্রামের মৃত আহমদ আলীর ছেলে মোঃ তারা মিয়ার নিকট। গতকাল শনিবার রাতে তারা মিয়ার ছেলে মিজানুরের নিকট পাওনা টাকা চাইলে দু’জনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষ রূপ নেয়। এসময় তারা মিয়া, তার বড় ছেলে মোঃ রেজাউল করিম ও ছোট ছেলে মিজানুরসহ আরো ৩/৪ জন মিলে দোকানিসহ ২ জনকে মেরে আহত করে দেলোয়ারের পকেটে থাকা ৩৫ হাজার টাকা নগদ নেয় ও দোকানের প্রায় ৩০ হাজার টাকার মালামাল ভাঙচুর করে । পরে স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে আসেন। দোকানি মোঃ দেলোয়ার হোসেনের ছোট ভাই জনি মিয়া জানান, তারা মিয়ার কাছে দোকান বাকির ১ হাজার টাকা পাওনা ছিল, এই টাকা চাওয়ায় তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে তারা মিয়া ও তার দুই ছেলে সহ আরো ৩/৪ জন মিলে দেশীয় লাঠিসোটা নিয়ে তার ভাইকে বেধড়ক মারপিট করে। খবর পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করতে আসলে আমাদেরকেও তারা মারপিট করে।
প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, দেলোয়ার হোসেন ও আমি এক সাথে চা খাইতে ছিলাম, পাশ দিয়ে মিজানুর যেতে লাগছে। দেলোয়ার হোসেন তাকে অনুরোধ করে বলেন কাকা বলে আমার টাকা গুলো দিয়েন। অনেক দিন হয়ে গেলো আমি গরীব মানুষ আপনার কাছে অনুরোধ করছি। মুহূর্তের মধ্যে রেগে গিয়ে মিজানুর রহমান তাকে বলে টাকা পাইলেই কি সব সময় টাকা চাইতে হয় এই বলেই রাগাম্বিত হয়ে দেলোয়ারের উপর ঝাঁপিয়ে পরে তাকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুযি লাঠিপেটা ও দোকান ভাঙচুর করে। এ সময় তার বাবা তার মিয়া ও বড় ভাই রেজাউল করিম তার সাথে ছিল মারপিট করেছে । মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
জানতে চাইলে দৌলতপুর থানার ওসি এ আর এম আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 Comments