স্টাফ রিপোর্টার, হাবিবুর রহমানঃ
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি
দিবস’। শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে মহাদেবপুর ইউনিয়ন সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে
বিশাল র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই হাজারো নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে কলেজ মাঠ মুখরিত হয়ে ওঠে।
মিছিল, স্লোগান ও জাতীয়তাবাদী চেতনার
আবেগে ভরে যায় পুরো অনুষ্ঠানস্থল।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র,
মানিকগঞ্জ
জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও আহবায়ক কমিটির সদস্য, মানিকগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী কৃষিবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. খোন্দকার আকবর
হোসেন বাবলু।
ড. বাবলু বলেন, “৭ নভেম্বরের চেতনা
হলো জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার চেতনা। জাতির সংকট মুহূর্তে শহীদ
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন
করেছিলেন, তেমনি ১৯৭৫ সালের সেই দুঃসময়ে
তিনি জাতির রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন। জিয়ার বাংলাদেশ কখনও পরাধীন হবে না —
এদেশ সম্মানের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে বিশ্বে কথা বলবে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার পতনের পর গণতন্ত্রের পথ
উন্মুক্ত হয়েছে। এখন প্রয়োজন অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন ও
মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা। ন্যায়বিচার,
সুশাসন
ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি নেতা-কর্মীদের ঐক্যের আহ্বান
জানিয়ে বলেন,“মনোনয়ন যেই পাক না কেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই—ধানের শীষের বিজয়। বিভাজন ভুলে
ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিএনপি জনগণের দল, এখানে মতভেদ নয়—ঐক্যই আমাদের শক্তি।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের
কনিষ্ঠপুত্র খোন্দকার আকতার হামিদ পবন। বিশেষ অতিথি ছিলেন—খোন্দকার দেলোয়ার
হোসেনের দুই কন্যা কণ্ঠশিল্পী ডাঃ খোন্দকার আকতারা খাতুন লুনা ও ডাঃ দেলায়ারা বেগম
পান্না।
সভায় বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর
সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে সূচনা হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সময়ে নতুন গণআন্দোলনের মাধ্যমে
ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান ঘটেছে। এখন সময় এসেছে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ৩১ দফা
বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ, ন্যায়ভিত্তিক ও
জনগণমুখী বাংলাদেশ গড়ে তোলার।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আব্দুর
রউফ মাষ্টার, জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটির
সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম কুন্টু, শিবালয় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শফিউল আলম
বিল্টু, মানিকগঞ্জ জেলা জজকোর্টের
অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট ইউনুস, বাঁচামারা কলেজের
প্রিন্সিপাল রোকনউদ্দিনসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

0 Comments