ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ শ্রমিকের মাথায় লোহার রড ঢুকে মারাত্বক আহত


নান্নু মিয়া,স্টাফ রির্পেোটারঃ

আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণাধীন কনেক্টেশন কাজের সময় পর্যাপ্ত সেপটি না থাকার কারনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উপর থেকে বল্টুর মত রড পড়ে এক শ্রমিকের মাথায় পড়ে যায়। 


সোমবার (২৬ মে) সকাল ৭টার কিছু সময় পরে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ধউর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় কাজ করতে গিয়ে নির্মান শ্রমিক মো. হাসান মিয়া (৩০) নামে গুরুতর ভাবে মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হন।

নাম প্রকাশ না করার স্বর্থে নির্মাণাধীন শ্রমিকরা জানিয়েছেন,ইন্জিনিয়ার ফারুক, রাকিব, সোহান ও চায়না ইনচার্জ (চৌ) বস্ এর গাফিলতির কারনে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে, আমাদেরকে হালকা প্লাস্টিকের হেলমেট দেয়। এই হেলমেট এই সব কাজের জন্য নয়। পর্যাপ্ত সেপটি না থাকার কারনে মাঝে মাঝে এমন ঘটনা ঘটে, এর আগেও এক শ্রমিকের পায়ে রড ঢেকেছিল। 

আমাদের সহ কর্মীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উপর থেকে একটি রড বল্টু সহ তার মাথায় এসে পড়লে নরমাল প্লাস্টিকের হেলমেট ভেঙ্গে মাথার হাড় ছিদ্র করে মগজের ভিতরে ঢুকে যায়। সাথে সাথেই তার সহকর্মীরা দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে নিয়ে যায়।

এরপর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক দ্রুত সিটি স্ক্যান করান। নিউরোসার্জন ডা. মো. হুমায়ন রশিদ রোগীকে জরুরী বিভাগেই পর্যবেক্ষন করেন।

পরবর্তীতে দ্রুত হাই ডিপেন্ডেসি ইউনিটে (এইচ ডি ইউ) রোগীকে স্থানান্তর করা হয়। রোগীর স্বজন ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কাজ তদারকী প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার এর সম্মতিতে মাত্র ১ ঘন্টার মাঝেই মস্তিস্কে অপারেশনের সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।

অপারেশনের মাধ্যমে মগজের ভিতরর প্রায় ৩ ইঞ্চি পর্যন্ত দেবে যাওয়া রড টি সফলভাবে বের করে নিয়ে আসেন নিউরোসার্জন ডা. মো. হুমায়ন রশিদ ও তার টীম।

অপারেশনে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন হাসপাতালের দক্ষ এনেস্থেশিওলজিস্ট বৃন্দ। ৩ ঘন্টার সফল অপারেশনের পরে রোগীর জ্ঞান ফিরে আসে এবং তিনি হাত-পা স্বাভাবিকভাবে নাড়াতে পারেন, কথা বলতে সক্ষম হন।  দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহন করে রোগীর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করায় ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কতৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রোগীর স্বজন ও সহকর্মীরা।


Post a Comment

0 Comments